এবার ময়মনসিংহ–নেত্রকোণার জারিয়া রেলপথে চলা লোকাল ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ট্রেনের একটি বগির যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের নগদ টাকা, মুঠোফোন ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে মুঠোফোনে ডাকাতির ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা সকাল পৌনে ৮টার দিকে পূর্বধলা স্টেশনে প্রায় ঘণ্টাখানেক ট্রেনটি অবরোধ করে রাখে। ভুক্তভোগী ট্রেনের যাত্রী, পূর্বধলা সরকারি জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শুধাংশু শেখর তালুকদার ও পূর্বধলা রাবেয়া মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খোশেদ আলী জানান, পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ঝাঞ্জাইল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনটি নিয়মিত দিনে চারবার চলাচল করে।
ট্রেনটি জারিয়া ট্রেন হিসেবেই পরিচিত। আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে তারা ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে জারিয়াগামী ২৭২নং ওই লোকাল ডাউন ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথের বগিতে উঠেন। ময়মনসিংহ নগরের কেওয়াটখালী এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে ট্রেনটি। ৪ জনের একটি ডাকাতদল ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথের বগিতে ওঠে।
ডাকাতরা অস্ত্র দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রাকিবুর রহমান (৪২) নামের এক যাত্রী আহত হয়। ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের গার্ড ও ড্রাইভারের যোগসাজসে এ রেলপথে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আজকেও ইচ্ছে করেই ড্রাইভার ট্রেনটি থামিয়ে ছিল।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রেনের গার্ড আব্দুল গফুর জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ড্রাইভার তার ইচ্ছেমতো ট্রেন থামিয়েছে। আর অভিযুক্ত ট্রেনের ড্রাইভার আব্দুল হালিম জানান, ট্রেনটি রেলব্রিজে উঠার আগেই সাধারণত ট্রেনের গতি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ডাকাত দল।
এদিকে পূর্বধলা রেলস্টেশনে ট্রেন অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান ও সেনাবাহিনীর ৮ ইস্ট বেঙ্গলের অধীনে পূর্বধলা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ওয়ারেন্ট অফিসার মো. শহিদুল উল্লাহ ভূঁইয়া। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইউএনও মো. খবিরুল আহসান জানান, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।